Tuesday, July 16, 2013

প্রেমের নামে নারীর দেহ ভোগ চলতেছে

প্রেমের নামে নারীর দেহ ভোগ চলতেছে 

 

অবাধে মোবাইলে কপিরাইট হচ্ছে বাংলাদেশের পর্ণো ভিডিও,
গান লোড এর আড়ালে চলছে পর্ণো ভিডিওর ব্যবসা ।
পর্ণো ভিডিও দেখার প্রতি আসক্ত শিশুরাও ।

বিষয়টি ঘৃণার নয় লজ্জারও বটে ।
বর্তমানে আমাদের দেশে প্রেমের আড়ালে যে সব অপকর্ম হচ্ছে তা পশ্চিমাদেরও হার মানিয়েছে ।
প্রেমের আড়ালে নারী দেহ ভোগ চলতছে ।
ভিভিন্ন পার্কে বা হোটেলে আমাদের অতি আধুনিক তরুণ তরুণীরা প্রেমের নামে মিলিত হচ্ছে শাররিক সম্পর্কে ।
শুধু এখানেই শেষ নয়? মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করতেছে ।
এসব ভিডিও কম্পিউটার এর মাধ্যমে পৌছে যায় সবার হাতে ।
সমাজের ছোট বড় সব বয়সের ছেলে মেয়েরা দেখতে থাকে অতি আধুনিক প্রেমিক প্রেমিকাদের দ্বারা তৈরী করা এসব ভিডিও ।
তবুও দেখার কেউ নেই ।
এমন কি প্রেমিক প্রেমিকাদের হাতে তৈরী করা এসব নোংরা ভিডিও প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মেমোরি কার্ডে তে কপি হচ্ছে বিদ্যুতের চেয়েও দূত গতিতে ।
বিদেশি পর্ণো ভিডিও নয় আমাদের দেশের পর্ণো ভিডিও দিয়েই সয়লাব প্রতিটি কম্পিউটার ।
আমি দিনে রাতে মিলিয়ে শতেক কম্পিউটারের দোকানে অনুসন্ধান করেছি ।
অনুসন্ধান করেছি you tubeতেও ।পেয়েছি প্রেমিক প্রেমিকাদের দিয়ে তৈরি করা হাজার হাজার ভিডিও ।
এর মধ্যে ৯৯ ভাগ ভিডিওই হচ্ছে স্কুল কলেজের পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের ।এসব ছাত্র ছাত্রীদের কয়েকটি কলেজের নাম আমি জানতে পেরেছি ।এই কলেজ গুলোর নাম হলো 'ঢাকা সিটি কলেজ, জামাল পুর মহিলা কলেজ, বি এন কলেজ ।এই তিনটি কলেজ ব্যতিত অন্য কোনো কলেজের নাম আমি জানতে পারিনি ।যদিও অন্য কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা এসব নোংরা কাজে লিপ্ত আছে ।এক হাজারের বেশী ভিডিও আমি চেক করেছি ।শুধু মাত্র একটি ভিডিও বাদে সব কয়টি ভিডিওতে ছাত্রীরা নিজ ইচ্ছেই মিলিত হয়েছে শারীরিক সম্পর্কে ।জামাল পুর মহিলা কলেজের ছাত্রীটির কিছু আতৎচিৎকার করেছে ।ভিডিও তে দেখা যায় মেয়েটিকে পাঁচ মিনিটের কথা বলে প্রেমিকের বাড়ীতে আনা হয় ।তারপরে জোড় করে নগ্ন করে মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করা হয় ।মেয়েটি নগ্ন ভিডিও করা থেকে রেহাই পেতে প্রেমিকের কথা মতো শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয় ।কিন্তু এইটি প্রথম বার নয়? এর আগেও তারা বেশ কয়েক বার মিলিত হয়েছিল ।সেটা তাদের কথা থেকে বুঝা যায় ।সব চেয়ে ভয়ানক বিষয় হলো যত গুলো ভিডিও চেক করা হয়ে এর একটি ভিডিও তেও কোনো ছেলে মুখ দেখানো হয়নি ।তার মানে এই সব ভিডিও করা মেয়েদের কে ব্যাকমিল অথবা ফ্রি সেক্স করার জন্য ।
আমার প্রশ্ন হলো দেশে এতো অঘটন ঘটতেছে, প্রশাসন নাকে খাটি দেশি সরিষার তেল দিয়ে ঘুমাইতে, আরেক জন ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে চিৎকার করতেছে, আর এদিকে নারীদের জীবনে তেরোটা বাজতেছে । অথচ নারী সম্মান রক্ষার কোনো পদক্ষেপ নেই ।এদেশের নারী অধিকার বাদীদের শুধু ইসলামের বেলাই কথা বলতে শুনা যায় ।অন্য কিছুর বেলা কথা বলতে গেলে তাদের মুখে ঝাঁটার বারী পড়ে যায় ।আজ তথা কথিত নারী বাদীদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই, চেয়ে দেখে তোদের কথা মতো নারী স্বাধীনতা ভোগ করনে ওয়ালারা ,কত বড় বেহাইয়া পণার শিকার, শুধু একবার চেয়ে দেখ ।
ইসলাম নারী সম্মান রক্ষা করার জন্য পর্দা করার কথা বলে, বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাহির হতে নিষেধ করে ।
বেগানা পুরুষদের সাথে গোপনে বা প্রকাশে দেখা সাক্ষাত বা কথা বলতে নিষেধ করে ।
আর তোরা নারী হয়েও যারা নারী সম্মান লুট করে?
তাদের সুরের সুর মিলিয়ে কথা বলিস ।
নারীর ইজ্জত যাতে পথে ঘাটে সহজ ভাবে লুট হতে পারে সেজন্য সমান অধিকার কথা বলিস ।
যে নারীরা নিজের ইজ্জত রক্ষার করার জন্য ইসলামের আইন মেনে চলে, তাদের কে তোরা বন্দি শালা বলিস ।তোদের কথা মতো যেসব নারীরা স্বাধীনতা ভোগ করতে গিয়ে ইজ্জত হারিয়ে হারিয়েছে?
বিয়ের আগে প্রেমিকের সাথে ফ্রি সেক্স করে সতীত্ব হারিয়েছে?
যে সমস্ত কুলাঙ্গারা প্রেমের ফাঁদ ফেলে নারীদের দেহ ভোগ করে মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করে মেয়েদের সম্মান ধূলায় মিশিয়ে দিচ্ছে ।
যেসব নারীরা যৌন কেলেঙ্কারী তে ইজ্জত হারিয়েছে এবং সমাজ থেকে মুখ লুকিয়েছে?
এই কুখ্যাত নারী অধিকার দাবী করনেওয়ালা নারী বাদীরা কি তাদের হারানো ইজ্জত ফিরিয়ে দিতে পারবে?
যে সমস্ত কুলাঙ্গারা প্রেমের নামে নারীর দেহ ভোগ করতেছে?
সে পরবর্তীতে এই নারীকে বিয়ে করবে?
না করলে মেয়েটির জীবনের অবস্হা কিরকম একটু ভাবুন ।
জানিনা এই অবুঝ গদা মূর্খ নারীরদের বুঝ হবে কবে?
এই বিষয়টি দৈনিক 'আমার দেশ' এর সম্পাদক 'মাহমুদুর রহমান' স্যার এবং 'তালাস' টিম এর নিকট পাঠিয়েছি ।
এবং বলে দিয়েছি এই বিষয়ে আরো অনুসন্ধান করে পুর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে ।
আমি চেষ্টা করে ছিলাম ব্লগে কিছু ভিডিও প্রকাশ করতে ।
কিন্তু এবিষয়টি কারো অজানা নয় ।
তাঁরপরও প্রমাণ স্বরূপ You Tube থেকে দুইটি ভিডিও লিংক আপনাদের কে দিলাম ।
দেখে নিবেন ।এবিষয়ে আরো কিছু কথা বলার ছিল ।
কিন্তু দুই যাবত আমার মনটা খুব খারাপ ।
কাজ করতে ভালো লাগেনা ।
তাই এখানেই শেষ ।
আল্লাহ্ হাফেজ ।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।
এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব

No comments:

Post a Comment